করোনা মহামারির সময়ে ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পারাপার অব্যাহত ছিল। ২০২১ সালে ত্রিপুরা সীমান্তে দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পারাপারের সময় ২২১ জন সেখানকার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় নাগরিক ১১৮ জন, বাংলাদেশি নাগরিক ৯৭ জন ও অন্যান্য দেশের ৬ জন নাগরিক আটক হয়।

ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফের ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের আইজি সুশান্ত কুমার নাথ এসব তথ্য জানান

ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক দেশের কথা পত্রিকার খবর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার শালবাগানে গত ২৫ জানুয়ারি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বলে পত্রিকার খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
পত্রিকাটির খবরে আরো বলা হয়, বিএসএফ ত্রিপুরার ৮৫৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীমান্ত পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে আছে। সীমান্ত অপরাধ মোকাবেলায় করোনার মধ্যেও কাজ করে বিএসএফ। এ সময় অবৈধভাবে পারাপার হওয়া লোকজনের পাশাপাশি বিভিন্ন পাচারসামগ্রীও উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য ৬৫ কোটি ৬৪ লাখ রুপি। এর মধ্যে প্রায় তিন কোটি ৮১ লাখ ৩৪ হাজার রুপির ইয়াবা রয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১৩২০৬ কেজি গাঁজা, যার বাজার মূল্য নয় কোটি ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার রুপি। সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে ৪৫ লাখ সাত হাজার ৩৯টি গাঁজার গাছ। এসবের মূল্য প্রায় ২৪ কোটি রুপি। বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছে ৪৮২০০ বোতল ফেন্সিডিল ও ইস্কফ। উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৫ লাখ রুপির মদ। বাদ যায়নি গবাদি পশুও। বাংলাদেশে পাচারের সময় সীমান্তের ওপারে বিএসএফের হাতে উদ্ধার হয়েছে দুই হাজার ৪২২টি গবাদি পশু। এছাড়া প্রায় ৪২ লাখ রুপির ওষুধ, শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক ৭৫ লাখ রুপি ও প্রায় ১৮ কোটি রুপির অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

পত্রিকার খবর অনুযায়ী, সংবাদ সম্মেলনে বিএসএফ আইজি সুশান্ত কুমার নাথ জানান, সন্ত্রাসবাদীদের আন্তঃসীমান্ত চলাচল রোধ করতে সীমান্তে বিএসএফের দৃঢ় নজরদারি বজায় ছিল। ২০২১ সালে এন এল এফ টি (বি এম) নামে একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের ৬ জন সক্রিয় জঙ্গি বিএসএফের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

কলমকথা/রোজ